Friday, July 26, 2013

সরিষার পাতা ঝলসানো রোগ

রোগের কারণঃ
Alternria brassicae জীবাণু

রোগ উপযোগী আবহাওয়াঃ
ভেজা আর্দ্র এবং গরম যখন তাপমাত্রা ২০-৩০.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকে তখন এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়।

রোগের লক্ষণঃ
১) আক্রান্ত গাছের নিচের দিকের পাতায় ছোট, গোলাকার, গাঢ় বর্ণের ছোপ দেখা যায়।
২) পরবর্তিতে রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে চক্রাকার দাগের সৃষ্টি হয়।
৩) দাগ ক্রমে তীর ছোড়ার টার্গেটের আকার ধারণ করে যেখানে কয়েকটি চক্রাকার দাগ স্পষ্ট দৃশ্যমান হয়।
৪) ক্রমে এই দাগ উপরের দিকের কান্ড, পাতা ও ফলে ছড়িয়ে পড়ে।
৫) দাগের চারপাশে হলদে রঙ এর খালি সীমানা থাকে।
৬) আক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে পাতা ঝলসে যেতে থাকে।
৭)  দাগের মাঝে তামাটে অংশ খসে পড়ে পাতায় অসংখ্য ছিদ্র সৃষ্টি করে। ভেজা আবহাওয়ায় তামাটে অংশ খসে পড়ে না, বরং তার উপর কালো ছিট ছিট দাগ দেখা যায়।
৮) সবুজ অংশ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সালোকসংশ্লেষণ ক্ষমতা নষ্ট হয় ফলে সরিষার ফলন কম হয়।

লক্ষণ স্থানঃ
সাধারণত নিচের দিকের পাতায় লক্ষণ প্রথমে দেখা যায়। সময়ের সাথে সাথে ক্রমে কান্ড ও ফলে ছড়ায়।
চিত্রঃ বুলস আই। সরিষার পাতায় পাতা ঝলসানো রোগের লক্ষণ।

চিত্রঃ পাতা ঝলসানো রোগে পর্যুদস্ত সরিষার পাতা
চিত্রঃ সরিষার ফলে (সিলিকা) পাতা ঝলসানো রোগের লক্ষণ
চিত্রঃ বাধাকপির পাতা ঝলসানো রোগ


প্রতিকারঃ
১) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন জাতের সরিষার চাষ করাই উত্তম। বারি সরিষা-৭, বারি সরিষা-৮, ধলি, দৌলত ইত্যাদি জাত কিছুটা পাতা ঝলসানো রোগ সহনশীল।
২) রোগ মুক্ত বীজ সন্ধান এবং বপন।
৩) নিয়মিত মাঠ পর্যবেক্ষন এবং রোগাক্রান্ত পাতা ও গাছ সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেললে পরবর্তিতে রোগের প্রাদুর্ভাব কমে আসে।
৪) বীজ বপনের আগে প্রোভেক্স-২০০ (২-৩ গ্রাম প্রতি কেজি বীজ) দিয়ে বীজ শোধন করে নেয়া যায়।৫) রসুন বাটা ১০ গ্রাম প্রতি কেজি বীজে মিশিয়ে ভালো করে রোদে শুকিয়ে ওই বীজ বপন করলে রোগের প্রকোপ কম হয়।
৬) সময়মত আগাছা দমন, সার ব্যবস্থাপনা ও গাছ থেকে গাছের দূরত্ব বজায় রাখলে প্রকোপ কম হয়।

তথ্য এবং ছবি সুত্রঃ
১) http://www.canolacouncil.org
২) http://www1.agric.gov.ab.ca
৩) http://www.infonet-biovision.org
৪) http://www.indiancropdiseases.com

No comments:

Post a Comment