মনে করুন আপনি একজন সফল বাগানি। আপনার বাগানে আছে অনেক ধরণের গাছ। তারা নিয়মিত ফুল দিচ্ছে, ফল দিচ্ছে। হঠাৎ একদিন দেখলেন কোন একটি গাছের পাতার নিচে ছোট্ট একটি সাদা তুলোর মত জমে আছে। ভাবলেন, হয়ত তুলোই হতে পারে। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই দেখা গেল বাগানের সব গাছের পাতার নিচে, পাতার গোড়ায় এমন সাদা সাদা তুলোর মত। দিন দিন এমন তুলোর পরিমাণ বাড়তে লাগল আর ফলনের পরিমাণ কমতে লাগল। গাছগুলোর পাতা এলোমেলোভাবে কুঁকড়ে গেল, ফুল দেওয়া কমে গেল, ফল দেওয়া কমে গেল। কিছুদিন বাদে দেখা গেল গাছগুলোর পাতা কালচে আবরণে ঢেকে যাচ্ছে। গাছ দূর্বল হয়ে পড়ছে ধীরে ধীরে। অথচ আপনি কিছুই বুঝতে পারছেন না। নিশ্চিত থাকুন যে আপনার সাধের গাছ মিলিবাগ দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। যদি সময়মত ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তবে ক্ষতির আশঙ্কা সর্বাধিক।
![]() |
মিলিবাগ আক্রান্ত টমেটো গাছ (ছবিসূত্রঃ ইন্টারনেট) |
মূলত মিলিবাগ আফ্রিকার উষ্ণ অংশের একটি কীট। কিভাবে এশিয়ার দিকে এর বিস্তার হয় তা পুংখানুপুংখভাবে জানা যায় না। তবে বিভিন্ন বিজ্ঞানিদের তথ্য থেকে তাদের প্রাপ্তির সময়কাল সম্পর্কে একটু ধারণা পাওয়া যেতে পারে। Paracoccus marginatus পেঁপের মিলিবাগ সর্বপ্রথম দেখা যায় মেক্সিকোতে (Williams and Granara de Willink 1992) এবং পরবর্তিতে এটি ছড়িয়ে পরে ২০১০ এর পরবর্তি সময়ে। এই মিলিবাগ প্রায় ২০ টি পরিবারের অন্তর্ভূক্ত উদ্ভিদে আক্রমন করার প্রমাণ পাওয়া গেছে (Ben-Dov 2010).। Phenacoccus solenopsis বা সোলেনোপসিস মিলিবাগ প্রথম দেখা যায় নিউমেক্সিকোতে ১৮৯৮ সালে (Tinsley 1898). পরে এটি ইউএসএ আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এটি এখন বাংলাদেশেও দেখা যাচ্ছে। এই জাতের মিলিবাগ সবজির ব্যাপক ক্ষতি করছে। এই জাতের মিলিবাগ প্রায় ৫০ টি পরিবারের অন্তর্গত উদ্ভিদের উপর বেঁচে থাকতে পারে (Hodgson et al. 2008).। ২০০৬ এবং ২০০৮ সালে এই জাতের মিলিবাগের কারণে ভারত এবং পাকিস্তানে তুলা চাষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল (Dutt 2007)। Brevennia rehi ধানের মিলিবাগকে প্রথম গুরুত্ব দেওয়া হয় ১৯৭৯ সালে (Alam et al. 1979)। Formicococcus robustus মিলিবাগ প্রথম এই উপমহাদেশে দেখা যায় ১৯৯৪ সালের দিকে (Ben-Dov, 1994), । Phenacoccus madeirensis বা মাদিরা মিলিবাগ প্রথম লিপিবদ্ধ হয় ক্রান্তীয় দক্ষিন আমেরিকার মাদিরায় ১৯২৩ সালে (Green 1923). পাকিস্তানে এটিকে প্রথম পাওয়া গেছে ১৯৯৯৭ সালে এবং তাইওয়ানে ২০০৬ (Yeh et al. 2006)। ইদানিং একে দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার দিকে কাসাভা এবং বাহারি গাছের কীট হিসাবে দেখা যাচ্ছে। এটি প্রায় ৪৪ টি পরিবারের উদ্ভিদকে আক্রমন করতে পারে। থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, লাওস, তাইওয়ানের সাথে আমাদের উদ্ভিদ আমদানির সম্পর্ক থাকায় ধারণা করা যায় অচিরেই মিলিবাগ দেশের কৃষক এবং বাগানিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ শত্রুর পদ অধিকার করতে যাচ্ছে। এছাড়াও ইদানিং আরো একটি মিলিবাগ Drosicha stebbingi এর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে যাকে জায়ান্ট মিলিবাগ বলা হচ্ছে এবং যাকে প্রথম এই উপমহাদেশে দেখা যায় ১৯০০ সালের দিকে। তবে বাংলাদেশে প্রথম দেখা যায় ২০১৩ সালে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়। এগুলো ছাড়াও বিশ্বব্যাপি Pseudococcidae পরিবারের ২৭৩ টি জেনাসের ২০১২ টি স্পিশিজের অন্যান্য মিলিবাগ আছে যেমন Maconellicoccus hirsutus – pink hibiscus mealybug, grape mealybug, Planococcus citri – citrus mealybug, Pseudococcus viburni – obscure mealybug, Mango mealybug গ্লোবালাইজেশনের যুগে যারা সহজেই পৃথিবীর আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ছে এবং আখ, আঙুর, আনারস, কফি, কাসাভা, পেঁপে, লেবু, মালবেরি, অর্কিড সহ প্রায় সকল রকম ফলদ, বনজ, ফুল এবং সবজি জাতীয় উদ্ভিদের ক্ষতিসাধন করে যাচ্ছে।
![]() |
পূর্নাঙ্গ স্ত্রী জায়ান্ট মিলিবাগ (ছবিস্বত্বঃ লেখক) |
![]() |
পূর্নাঙ্গ পুরুষ জায়ান্ট মিলিবাগ (ছবিসূত্রঃ ইন্টারনেট) |
এপ্রিল মে মাসের দিকে সাধারনত মিলিবাগ ডিম পাড়ে। বেশিরভাগ মিলিবাগের প্রজাতিতে পার্থেনোজেনেসিস পদ্ধতিতে স্ত্রী পোকা পুরুষের সাহায্য ছাড়াই ডিম উৎপাদন করতে পারে। তবে কিছু কিছু প্রজাতিতে স্ত্রী এবং পুরুষের মিলনের প্রয়োজন হয়। জায়ান্ট মিলিবাগে, হিবিসকাস মিলিবাগ স্ত্রী ও পুরুষ পোকা মিলনের পর দল বেঁধে স্ত্রী পোকাগুলো হেঁটে হেঁটে মাটিতে নেমে আসে। মাটির ৫-১৫
সেন্টিমিটার গভীরতায় প্রতিটি স্ত্রী পোকা গুচ্ছাকারে মোমের আবরণের ভেতরে প্রজাতি ভেদে ৩০০-৪০০ টি ডিম দেয়। অবশ্য কিছু প্রজাতি গাছের পাতার বোটায়, বাকলের ভাজে, কচি ডগায় প্রায় ৬০০ টির মত ডিম দেয়। আবার আনারসের মিলিবাগের প্রজাতির ডিম স্ত্রী পোকার ভেতরেই বড় হয় এবং পরে সরাসরি বাচ্চা দেয়। সাধারণত ডিম দেওয়া শেষে স্ত্রী পোকাগুলো মারা যায়। জায়ান্ট মিলিবাগের মাটির নিচের ডিমগুলো নভেম্বর মাসে ফোটা শুরু হয় এবং তা চলে প্রায় মার্চ মাস পর্যন্ত। ডিম ফুটে গোলাপি আভাযুক্ত ছোট ছোট মিলিবাগের নিম্ফ হেঁটে হেঁটে গাছের উপর উঠে পড়ে এবং কচি ডালপালা, কচি ডগা, কচি পাতা, পুষ্পমঞ্জরি ও ফলের বোটা থেকে রস চুষে খেতে শুরু করে। অন্যান্য প্রজাতির মিলিবাগের ডিম ফুটতে ৩-৯ দিন সময় লাগে এবং ৩০ দিনের মধ্যেই পূর্নাংগ রূপ নেয়। পুরুষ পোকা বেঁচে থাকে ২২-২৫ দিন পর্যন্ত। এভাবে প্রজাতিভেদে মিলিবাগ ১ বছরে ১৫ বার বংশবিস্তার করতে পারে।
![]() |
মরিচের পাতার গোড়ায় মিলিবাগ ডিম পাড়ছে (ছবিসূত্রঃ ইন্টারনেট) |
![]() |
পিপড়ারা মিলিবাগের নিম্ফ লালন পালন করছে (ছবিস্বত্বঃ লেখক) |
এতক্ষন আমরা জানলাম শত্রুর পরিচিতি। এখন জানা বাকি শত্রু আয়ত্তে আনার রনকৌশল। মিলিবাগের প্রধান ঢাল হল তার মোমের মত আবরণ। এ আবরণের কারণে সাধারণ কীটনাশক তার গায়ের ত্বক পর্যন্ত পৌছায় না সহজে। তাই কীটনাশক দেওয়ার পরেও মিলিবাগ বহাল তবিয়তেই বেঁচে থাকে। এর জন্য দরকার সমন্বিত বালাই ব্যাবস্থাপনা। খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতকের সংস্কৃতের অর্থশাস্ত্রের প্রাচীন প্রবাদ- শত্রুর শত্রু হয় বন্ধু। তার অর্থ দাঁড়ায় শত্রুর বন্ধুও শত্রু। সহজেই বোধগম্য যে মিলিবাগ কে আয়ত্তে আনতে চাইলে তাকে দূর্বল করার মোক্ষম অস্ত্র হল তার বন্ধু পিপড়া কে হটিয়ে দেওয়া। আর তা হলেই মিলিবাগ অর্ধেক দূর্বল হয়ে পড়বে। পিপড়া দূর করার জন্য উন্নত বিশ্বে বৈদ্যুতিক বেড়া ব্যাবহার করা হয় যেখানে পিপড়া বৈদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে নির্দিষ্ট এলাকায় অনুপ্রবেশ করতে পারেনা। অথবা সোহাগা বিষ টোপ দিয়েও পিপড়া নির্মূল করা যায়। এই পদ্ধতিতে সোহাগা এবং চিনি / মধু ১:৩ অনুপাতে ভালোভাবে গুলিয়ে ক্ষেতের বা বাগানের বিভিন্ন স্থানে রেখে দিলে পিপড়া এসে সেটি খায় এবং ধীরে ধীরে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা পরে। যারা ছাদ বাগানের পিপড়া তাড়াতে চান তারা ১ ভাগ ভিনেগারের সাথে ২ ভাগ পানি মিশিয়ে সেই অম্লীয় দ্রবন দিয়ে ছাদ পরিস্কার করে নিতে পারেন। তাতে পিপড়ার উপদ্রব কমে আসবে।
পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কিছু সহজ পদ্ধতি আবলম্বন করে মিলিবাগের আক্রমন কমিয়ে আনা যায়। আগের
বছরের সংক্রমিত ফসলের উচ্ছিষ্ট এবং আগাছা থেকে নতুন ফসলে কীট সহজেই ছড়াতে পারে। তাই, উচ্ছিষ্ট এবং আগাছা সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। জমি আগাছামুক্ত রাখতে পারলে পিপড়ার এবং মিলিবাগের আশ্রয় ধ্বংস হয় এবং আক্রমন অনেকটাই কমিয়ে আনা যায়। মালভেসি গোত্রের গাছে সহজেই মিলিবাগ আক্রমন করে। তাই শস্যের আশেপাশের মালভেসি গোত্রের গাছ তুলে ফেলাই ভাল হবে। এক জমির ব্যাবহৃত যন্ত্রপাতি অন্য জমিতে ব্যাবহার করার আগে খুব ভালভাবে পরিস্কার করে নিতে হবে। চিকন ধারায় পানি স্প্রে করে মিলিবাগ কে গাছ থেকে ফেলে দেওয়া যেতে পারে। মিলিবাগ দ্রুত নড়তে পারে না বলে খুব সহজে উপরে উঠতে পারে না। বহুবর্ষজীবি গাছে আলগা হয়ে থাকা বাকলে মিলিবাগ ডিম পাড়ে এবং লুকিয়ে থাকে। এসব আলগা হয়ে থাকা বাকল তুলে ফেলে ডাইক্লোরভস ৭৬ ইসি ২মিলি + ২গ্রাম মাছের তেল ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে সে জায়গায় স্প্রে করলে ভাল কাজ দেবে। গাছের কান্ডে চওড়া করে আঠালো ফাঁদ ব্যাবহার করেও মিলিবাগ আটকানো যাবে।
![]() |
উপকারী পোকা লেডিবার্ড বিটল সাইট্রাস মিলিবাগের ডিম খাচ্ছে (ছবিসূত্রঃ ইন্টারনেট) |
![]() |
লেডিবার্ডের কীড়া (ছবিসূত্রঃ ইন্টারনেট) |
যদি কিছুতেই কিছু না হয় এবং মিলিবাগের সংখ্যা যদি এতই বেশি হয় যে আর কোনভাবেই তাদের আয়ত্তে আনা যাচ্ছে না তবে শেষ অস্ত্র হিসেবে বাকি থাকে কেমিক্যাল ব্যাবহার করা। নিম্নোক্ত কেমিক্যাল গুলো ব্যাবহার করলে নিশ্চিতভাবে এই যুদ্ধে সহল হওয়া যাবে।
পিপড়া মারতে-
১। ক্লোরপাইরিফস ২০ ইসি – ২.৫ মিলি/লিটার
২। ৫% ম্যালাথিওন পাউডার – ২৫ কেজি/হেক্টর
মিলিবাগের উপর সরাসরি ব্যাবহার করার জন্য-
১। ডাইক্লোরভস ৭৬ ইসি- ২.৫ মিলি/লিটার
২। মনোক্রটোফস ৩৬ ডব্লিউএসজি- ১.৫ মিলি/লিটার
৩। মিথাইল ডিমেটন ২৫ ইসি – ২ মিলি/লিটার
৪। ক্লোরপাইরিফস ২০ ইসি – ২.৫ মিলি/লিটার
৫। ইমিডাক্লোপ্রিড ২০০ এসেল- ২ মিলি/লিটার
৬। ম্যালাথিওন ২.৫ মিলি/লিটার
এই কেমিক্যালের কোন একটি অথবা যৌথভাবে ১৫ দিন পর পর স্প্রে করতে হবে। মনে রাখতে হবে এই কেমিক্যালগুলো খুবই বিষাক্ত এবং স্প্রে করার পর ১৫ দিন ফসল তোলা যাবে না। স্প্রে করার সময় মাস্ক, গ্লাভস এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা আবলম্বন করতে হবেই। আরো একটি ব্যাপার মনে রাখার মত, তা হল কেমিকেলের প্রতি কীট পতংগের প্রতিরোধী ক্ষমতা। যদি অল্প মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ করা হয় তবে কীট মরবে না বরং পরের বংশধারায় ওই কীটনাশকের প্রতি সহনশীলতা তৈরি হবে এবং কীট মরবে না। তাই অবশ্যই উপদেশকৃত মাত্রায় কেমিক্যাল প্রয়োগ করতে হবে এবং কিছুদিন পর পর কেমিক্যাল গ্রুপ পরিবর্তন করতে হবে।
পাঠক, হয়ত মনে প্রশ্ন জাগছে, হয়ত বিরক্ত হচ্ছেন, ভাবছেন আসলেই মিলিবাগ নিয়ে খুব চিন্তার কিছু আছে কি? ভেবে দেখুন, এটি এই মুহুর্তে যদিও আমাদের প্রধান শত্রু নয়, তার পরেও বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন জমিতে এবং বাগানে বিশেষ করে ফলের বাগানগুলোতে এবং ছাদবাগানে এর উপস্থিতি বেশ লক্ষ করা যাচ্ছে। জায়ান্ট মিলিবাগ বছরে মাত্র একবার বংশবৃদ্ধি করলেও অন্যান্য মিলিবাগের প্রজাতি বছরে ১৫ টি বংশ বিস্তার করতে পারে। অর্থাৎ একটি মিলিবাগ থেকে যদি গড়ে ৫০ টি ও পূর্নাংগ মিলিবাগ হতে পারে তবে ১ বছরে সেই সংখ্যা দাঁড়াবে ৫০১২০। তাহলে ভেবে দেখুন সংখ্যাটি কত বিশাল। যদি এদের এখনি আয়ত্তে না আনা হয় তবে মহামারী ধারণ করতে কতদিন?
তথ্যসূত্রঃ
১। Alam, S., Alam, M. S. and Karim, A. N. M. 1979. Rice mealybug outbreak in Bangladesh. International Rice Research Newsletter 4:20-21.
২। Ben-Dov, Y. 1994. A Systematic catalogue of the mealybugs of the world (Insecta: Homoptera: Coccoidea: Pseudococcidae and Putoidae) with data on geographical distribution, host Plants, biology and economic importance. 685pp. Intercept Ltd, Andover.
৩। Ben-Dov, Y. 2010. ScaleNet, Paracoccus marginatus. Accessed online 20 May 2017 at, http://www.sel.barc.usda.gov/catalogs/pseudoco/Paracoccusmarginatus.htm.
৪। Dutt, U. 2007. Mealybug infestation in Punjab: Bt cotton falls flat. Accessed online 20 May 2017 at, http://www.countercurrents.org/dutt210807.htm..
৫। Green, E. E. 1923. Observations on the Coccidae of the Madeira Islands. Bull. Entomol. Res. 14:87–99.
৬। Herrbach, E. 2015. Scale insects as virus vectors. The Transmitters Blog. Accessed online 19 May 2017 at, https://thetransmitters.wordpress.com/2015/05/25/scale-insects-as-virus-vectors/.
৭। Hodgson, C. J., G. Abbas, M. J. Arif, S. Saeed and H. Karar. 2008. Phenacoccus solenopsis Tinsley (Sternorrhyncha: Coccoidea: Pseudococcidae), an invasive mealybug damaging cotton in Pakistan and India, with a discussion on seasonal morphological variation. Zootaxa 1913:1–35.
৮। Johnson, C., Agosti, D., Delabie, J. H., Dumpert, K., WILLIAMS, D. J., Tschirnhaus, M. V. and Kaydan, M. B., Kozár, F. and Hodgson, C,. 2015. A review of the phylogeny of Palaearctic mealybugs (Hemiptera: Coccomorpha: Pseudococcidae). Arthropod systemics and phylogeny. 73(1):175-195
৯। Maschwitz, U. 2001. Acropyga and Azteca Ants (Hymenoptera: Formicidae) with Scale Insects (Sternorrhyncha: Coccoidea): 20 Million Years of Intimate Symbiosis, American Museum Novitates, 3335:1-18
১০। Newstead, R. 1894. Scale insects in Madras. Indian Museum Notes 3:21-32.
১১। Tinsley, J. D. 1898. An ant’s nest coccid from New Mexico. Can. Entomol. 30: 47–48.
১২। Williams, D. J. and C. M. Granara de Willink. 1992. Mealybugs of Central and South America. CAB Internat., London, U.K., 635 pp.
No comments:
Post a Comment